নিজস্ব প্রতিবেদক :
বড় উৎপাদকদের নিরাপদ খাদ্যের ব্যাপারে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমাদের কৃষিবিদদের দায়িত্ব-কর্তব্য, কী পরিমাণ সার দিলে দূষণ হবে না ও আমি ফলনটা ভালো পাব—১৭ কোটি মানুষের জন্য তো আমাকে উৎপাদন করতে হবে। কী ধরনের পেস্টিসাইড দিলে কীট মারা যাবে কিন্তু মানুষের ক্ষতি হবে না, এটার জের কত দিন থাকবে, কত দিন পরে বাজারজাত করা যাবে, এটাও কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।’
বৃহস্পতিবার (৮ ফ্রেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেইমে সেফ ফুড কার্নিভালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা বড় বড় উৎপাদক, উৎপাদন করেন, যারা প্যাকেটজাত করেন; প্রাণ, এসিআই আরও বিভিন্ন যারা আছে, তাদেরও চিন্তা করতে হবে যে, তারা উৎপাদন করে, প্যাকেটজাত করে, বাজারে ছাড়েন সেটা কতখানি নিরাপদ?
‘তারা উৎপাদন করেন বাজারজাত করার জন্য, সেটা কি তারা নিজেরা নিজের পরিবারের জন্য ব্যবহার করেন নাকি সেই মানের জিনিস তারা বিদেশ থেকে এনে খান,’ বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
সাধন আরও বলেন, ‘আমাদেরও দোষ আছে। আমরা আবার সস্তা খুঁজতে যাই। একটু সস্তা পেলে বেশি খাই। চিন্তা করতে হবে, মানসম্মত উৎপাদন করতে গেলে খরচ সেটা দিয়ে আমরা অল্প খাব কিন্তু ভালো জিনিস খাব।’
প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে পাঠ্যবইয়ে নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কিত পাঠ অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন।
‘স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও সমৃদ্ধি চাই, নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস, ২০২৪ পালিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী সেফ ফুড কার্নিভাল।
প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত টানা তিন দিনের এই আয়োজন সবার জন্য উন্মুক্ত। কার্নিভালে প্রবেশের জন্য দর্শনার্থীদের কোনো বাড়তি প্রবেশ মূল্য গুণতে হবে না।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের খাবার উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও রফতানি সংক্রান্ত খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানাতে এবং খাদ্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আন্তঃসমন্বয় বাড়াতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এই আয়োজন করছে
কার্নিভালে চট্টগ্রামের মেজবান, বগুড়ার দই, রাজশাহীর কালাই রুটি, কুমিল্লার মাতৃভাণ্ডার, কক্সবাজারের শালিক, মুক্তাগাছার মণ্ডা থেকে শুরু করে নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী আঞ্চলিক খাবার থাকবে।
পাশাপাশি থাকবে পাঁচ তারকা হোটেলের নামিদামি সব খাবারের আয়োজন। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, প্যান প্যাসিফিক, হলিডে ইন, ঢাকা রিজেন্সি, ক্রাউন প্লাজা ও হোটেল আমারির মতো পাঁচ তারকা হোটেলের স্পেশাল মেনু কার্নিভালে প্রদর্শিত হবে।