Engage Your Visitors!

Click here to change this text. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

বদলে যাচ্ছে কুষ্টিয়ার মসলার গ্রাম

কৃষ্টিয়া প্রতিনিধি :

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের বরিয়া-ভাদালিয়া গ্রামে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন জাতের মসলা। এ গ্রামের প্রায় সব সড়কে বসানো হয়েছে সারি সারি রঙিন খাঁচা। প্রায় ছয় হাজার খাঁচায় লাগানো হয়েছে দারুচিনি ও তেজপাতাসহ বিভিন্ন মসলাজাতীয় চারা। বাড়ির আঙিনা, উঠান, পুকুর ও খাল পাড়সহ পতিত জায়গায় জিও ব্যাগে চাষ হচ্ছে আদা ও হলুদ। এ ছাড়া আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ হচ্ছে গোলমরিচ, ক্যাপসিকাম, চুইঝাল, জিরা, পেঁয়াজ ও রসুনসহ ১০ থেকে ১২ পদের মসলা।

এ গ্রামে মসলা চাষ হচ্ছে সরকারি প্রণোদনায়। আমদানিনির্ভরতা কমানোর দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নিয়ে সরকারি প্রণোদনায় কুষ্টিয়ায় এই গ্রামকে মসলা গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।

কুষ্টিয়া উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার জাহিদ জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় এ গ্রামকে বেছে নেওয়া হয়েছে। পাঁচ বছরের এ প্রকল্পে যুক্ত হয়েছেন ১০০ কৃষক পরিবার। মাঠে মাঠে চারা ও বীজতলার জন্য শেড তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এক বিশাল কর্মযজ্ঞ।

আনোয়ার জাহিদ বলেন, ‘আগামী তিন বছর পর এই গ্রামের কৃষকরা মুনাফা পেতে শুরু করবেন। মসলা উৎপাদনের পাশাপাশি চারাও বিক্রি করতে পারবেন তারা। এখান থেকেই সারাদেশে মসলার চাষাবাদ ছড়িয়ে দেওয়া হবে। আমাদের দেশে এসব মসলা বৈদেশিক মুদ্রায় আমদানি করা হয়। সেই খরচ সাশ্রয় করাই এর মূল লক্ষ্য।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ মসলার উৎপাদনে পিছিয়ে আছে। গ্রামের সবাই সম্মিলিতভাবে যেন এগিয়ে যেতে পারে, সেই চিন্তা থেকে সমবায় সমিতি গঠন করা হয়েছে।

কৃষক সলেমান আলী বলেন, ‘আমরা আগে ধান ও পাট আবাদ করতাম। এখন মসলা চাষ করে আমরা লাভবান হচ্ছি। পেঁয়াজ, মরিচ ক্যাপসিকাম, গ্রীষ্মকালীন মৌরী, আদা, হলুদ, চুইঝাল, গরম মসলা ও তেজপাতা চাষ শুরু করেছি।’

কৃষক আলী হোসেন বলেন, ‘যে সব মসলার চাষ হচ্ছে তার চারা সরকারই দিয়েছে। তারা জিও ব্যাগও দিয়েছে। আমরা গাছগুলো টেকাতে পারলে পরে আরও বেশি জায়গা নিয়ে করা হবে। আমরা চারা বিক্রি করেও অনেক টাকা পাব। এ ছাড়া জিও ব্যাগে যে আদা-হলুদ চাষ হয়, তা আাগে জানতাম না।’

সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল জানান, মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় এ গ্রামকে বেছে নেওয়া হয়েছে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ বলেন, ‘আমদানিনির্ভরতা কমানোর দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নিয়ে সরকারি প্রণোদনায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে এ মসলা গ্রাম গড়ে তোলা হয়েছে। এ গ্রামের সফলতার মাধ্যমে চাষ বাড়ানো-কমানো নির্ভর করছে।’

Scroll to Top