Engage Your Visitors!

Click here to change this text. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

৩০ শতাংশ অপচয় রোধ হলে খাদ্যনিরাপত্তা শক্তিশালী হবে : কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুস শহীদ বলেছেন, বাংলাদেশে ফসল সংগ্রহের পর বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ৩০ শতাংশ ফসল ও খাদ্য নষ্ট এবং অপচয় হয়। খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য নষ্ট ও অপচয়ের পরিমাণ কমাতে পারলে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা-ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী হবে।

বুধবার দুপুরে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে জাতিসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৩৭তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলনে খাদ্য ও পানি সংরক্ষণ এবং খাদ্য অপচয়রোধ শীর্ষক সেশনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আব্দুস শহীদ বলেন, কৃষিতে বর্তমান সরকারের এখন অগ্রাধিকার হলো- ফসলের সংগ্রহোত্তর নষ্ট ও অপচয়ের বিশাল পরিমাণ কমিয়ে আনা। সে লক্ষ্যে সরকার ৫০-৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদের কৃষিযন্ত্র দিয়ে যাচ্ছে এবং বহুমুখী হিমাগার নির্মাণ, বহুফসলের সমন্বিত সংরক্ষণাগার নির্মাণ ও শাকসবজি পরিবহনে রেফ্রিজারেটেড ভেহিকেল প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।

খাদ্য নষ্ট ও অপচয়ের পরিমাণ কমাতে ফসল তোলা, মাড়াই, পরিবহন ও সংরক্ষণে বিশাল বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, সরকার গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। তারপরও এসব খাতে বেসরকারি ও বিদেশী বিশাল বিনিয়োগ প্রয়োজন। আমরা এখন সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) অগ্রাধিকার দিচ্ছি। বিদেশী বিনিয়োগ আনার বিষয়ে এফএও সহযোগিতা করতে পারে।
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো: মাহমুদুর রহমান এবং এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি জিয়াওকুন শি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে মন্ত্রী একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কলম্বোর ইন্ডিপেনডেন্স স্কয়ারে বাংলাদেশ হাই কমিশন, শ্রীলঙ্কা এবং শ্রীলঙ্কার শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া মন্ত্রী জাপানের কৃষি, বন ও মৎস্য প্রতিমন্ত্রী সুজুকি নোরিকাজু এবং মালয়েশিয়ার কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা মন্ত্রী মোহাম্মদ সাবুর সাথে পৃথক বৈঠক করেন।

Scroll to Top