তিনি বলেন,‘আমি পেশায়-নেশায় সবকিছুর মধ্যে কৃষক। লেখাপড়া করেছি, অধ্যাপনা করেছি, পিএইচডি ডিগ্রিও আমি নিয়েছি। সবকিছুতেই মোটামুটি টাচ দিয়ে এসেছি। চিফ হুইপ ছিলাম, সব মন্ত্রণালয়ের সাথে অ্যাকটিভিটি ছিল আমার। তারপরও বলব, আমি এখনো শিখছি। শেখার শেষ নেই। আমি শিখেই কাজ করতে চাই। কৃষিতে উৎপাদনটাই হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রথম দিন রোববার সকালে সচিবালয়ে নিজ দফতরে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আব্দুস শহীদ।
মন্ত্রী বলেন, ‘এটি অবশ্যই একটি বড় মন্ত্রণালয়। আমাদের কৃষকদের উন্নতির জন্য যা প্রয়োজন, আমাদের ক্ষমতার মধ্যে যা আছে করব। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, উদ্যোক্তারা সবাই মিলে যদি কাজ করি, এ শক্তি কিন্তু বড় শক্তি, এর রেজাল্টও কিন্তু আমরা পাব।’
কৃষিতে চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্যই তো আমাদের জীবন। কোনো কাজ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা না করে ফলাফল অর্জন করা যায় না। এটা একটা বড় মন্ত্রণালয়। এখানে কাজের পরিধিও বেশি। আশা করি মন্ত্রণালয়ের সবাই সহযোগিতা করবেন। সবার সহযোগিতা থাকলে কাজ কেন করা যাবে না? চলছে তো ভালোই। নিশ্চয়ই আমি তাদের অভিজ্ঞতাকে ক্যাশ করার চেষ্টা করব।’
এক প্রশ্নের জবাবে নতুন কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমি আগে বুঝে নিই, তারপর ঠিক করব, কোন কাজগুলো অগ্রাধিকার দিয়ে করব।
সামনে আপনার চ্যালেঞ্জ কী- এ বিষয় তিনি বলেন, ‘কৃষিতে তো উৎপাদনটাই হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা যদি উৎপাদন না করতে পারি তাহলে বাজার কিভাবে দখল করব, মূল্য কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করব, কিভাবে ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাই চেইনকে কার্যকর করব।
আব্দুস শহীদ আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সিন্ডিকেট সব জায়গায় থাকে। তাদের কিভাবে ক্র্যাশ করতে হবে, সেটার পদ্ধতি বের করতে হবে। কাউকে গলা টিপে মারার সুযোগ নেই আমাদের। কর্মের মাধ্যমে এগুলোকে কন্ট্রোল করতে হবে। সিন্ডিকেট অবশ্যই দুর্বল হয়ে যাবে।’
মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের প্রতি আপনার কোনো মেসেজ আছে কি না জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সচিব মহোদয়ের নেতৃত্বে উনারা কাজ করছেন। ওপরে যদি ভালো কাজ করে, তবে নিচেও করবে।
এরপর তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও অধীনস্থ সংস্থা/প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।